<h1>ডিবির হাওর</h1> <p><strong>ডিবির হাওর</strong> বা <strong>শাপলার লেক</strong> জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি হাওর। এটি <em><strong>“লাল শাপলার বিল”</strong></em> নামে ও পরিচিত। এখানে রয়েছে ডিবি বিল, ইয়াম বিল, হরফকাট বিল ও কেন্দ্রীবিল। এই চারটি বিলকে একত্রে লাল শাপলার বিল বলা হয়ে থাকে, চারটি সংযুক্ত বিলের আয়তন ৯০০ একর বা ৩.৬৪ বর্গকিমিঃ। প্রাকৃতিক ভাবে এইখানে লাল শাপলার জন্ম। ডিবির হাওর, ইয়াম, হরফকাটা কেন্দ্রী বিলসহ রয়েছে চারটি বিল। বিলগুলোকে কেন্দ্র করেই নাম করা হয়েছে <strong>ডিবির হাওর</strong>। চারটি বিলের অবস্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে। বিলগুলো রূপ নিয়েছে শাপলার রাজ্যে। <a href="https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0_%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A6%B0#cite_note-:0-2">[</a>বিলে ফুটে থাকে অজস্র লাল শাপলা। ডিবির হাওরের আকর্ষণ হলো হাওরের পারেই পাহাড়ের সারি। এই বিলে আগে কোনো ধরনের শাপলা ছিল না। ৩০ বছর আগে সীমান্তের ওপারে খাসিয়া সম্প্রদায় লাল শাপলা দিয়ে পূজা-অর্চনা করত। খাসিয়া পরিবার ডিবি বিলে লাল শাপলার চারা রোপণ করেন পূজা-অর্চনায় ফুলের চাহিদা মেটাতে। সেই থেকে একে একে ডিবি বিল, কেন্দ্রি বিল, হরফকাটা বিল, ইয়ামবিলসহ পার্শ্ববর্তী জনসাধারণের পুকুর-নালা পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে লাল শাপলায়। চারটি বিলের অন্তত ৭০০ একর জায়গা লাল শাপলা দখল করে আছে। জৈন্তা রাজ্যের রাজা রাম সিংহকে এ হাওরে ডুবিয়ে মারা হয়েছিলো। সেই স্মৃতিতেই নির্মিত দুইশত বছরের পুরাতন একটি মন্দির ও আছে সেখানে। প্রতিবছর অসংখ্য পরিযায়ী পাখি আসে এই ডিবির হাওরে। যার মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস পাতিসরালি, পানকৌড়ি, সাদাবক ও জল ময়ুরী।</p>