<p>সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি জলপ্রপাত। সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে, ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ১ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থিত সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত। এখানে পাহাড়, জলপ্রপাত এবং নদীর সম্মিলন স্থানটিকে পর্যটকদের নিকট আকর্ষনীয় করে তুলেছেজলপ্রপাতটি বাংলাদেশের সিলেটের সীমান্তবর্তি পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে অবস্থিত। এর অপর পাশে ভারতের ডাওকি অঞ্চলের পাহাড়সারি।জাফলং-এর বল্লা, সংগ্রামপুঞ্জি, নকশিয়াপুঞ্জি, লামাপুঞ্জি ও প্রতাপপুর জুড়ে রয়েছে ৫টি খাসিয়াপুঞ্জী।আদমশুমারী অনুযায়ী জাফলং-এ ১,৯৫৩ জন খাসিয়া উপজাতি বাস করেন।জলপ্রপাতটি সংগ্রামপুঞ্জিতে অবস্থিত বলে এটি সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাত নামে সমধিক পরিচিত।ভারত সীমান্ত-অভ্যন্তরে থাকা ডাউকির উঁচু পাহাড়শ্রেণী থেকে নেমে আসা একটি ঝরণা হলো সংগ্রামপুঞ্জি জলপ্রপাতের উৎস। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রান ফিরে পায় জলপ্রপাতটি, আর হয়ে ওঠে জলে টইটম্বুর। জলপ্রপাতের পানির স্বচ্ছতাও এর আকর্ষণের অন্যতম কারণ। তাছাড়া পাহাড়ের মাথায় মেঘের দৃশ্যও যথেষ্ট মনোরম। বৃষ্টির সময় মেঘ, বৃষ্টি, পাহাড়, নদীর স্বচ্ছধারা এক অপার্থিব মায়াবি সৌন্দর্য্যের অবতারনা করে। তাই অনেকে কাছে এটি মায়াবী ঝর্ণা নামেও পরিচিত।কয়েক ধাপবিশিষ্ট প্রপাতটির খানিকটা দূর থেকেই এর পাহাড় বেয়ে নেমে আসা পানির গর্জন কানে আসে। সামনে যেতেই চোখে পড়ে গাছ, পাথর আর পানির অপূর্ব মেলবন্ধন। পাহাড়ের গা-বেয়ে বেশ কয়েকটি ধারায় নেমে আসে স্বচ্ছ পানির স্রোত। কখনো সবুজ ঝোপের ভেতর দিয়ে, কখনোবা নগ্ন পাথরের বুক চিরে নেমে আসে এ ধারা। ঝরনার জল এসে জমা হয়ে ছোট্ট পুকুরের মতো সৃষ্টি হয়েছে নিচে, যার তিন দিকেই রয়েছে বড় বড় পাথরের চাই। বর্ষাকালে সৌন্দর্যপ্রেমী সবার সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে জল প্রপাতটি।</p>