<p>খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের সিলেট জেলায়&nbsp;অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান।২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৬৭৮.৮০ হেক্টর ১৬৭৭ একর জমি নিয়ে এই জাতীয় উদ্যানটি গঠিত।খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২১৭ প্রজাতির গাছ এবং ৮৩ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে আছে প্রচুর সেগুন গাছ। এছাড়াও দেখা যায় ঢাকি জাম, গর্জন, চম্পা ফুল, চিকরাশি, চাপালিশ, মেহগনি, শিমুল, চন্দন, জারুল, আম, জাম, কাউ, লটকন, বন বড়ই, জাওয়া, কাইমূলা, গুল্লি,&nbsp;পিতরাজ, বট, আমলকি, হরিতকি, বহেড়া, মান্দা, পারুয়া, মিনজিরি,&nbsp;অর্জুন, একাশিয়া প্রভৃতি।&nbsp;বাঁশের প্রজাতিগুলো হচ্ছে জাইবাশ, বেতুয়া বাঁশ, পেঁচা বাঁশ, পারুয়া বাঁশ এবং বেতের প্রজাতিগুলো হচ্ছে তাল্লাবেত, জালিবেত।এই উদ্যানে পাখির মধ্যে রয়েছে দোয়েল, ময়না, শ্যামা, কাক,&nbsp;কোকিল, টিয়া, কাঠ ঠোকরা, মাছরাঙ্গা, চিল, ঘুঘু, বক, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুলি, বনমোরগ, মথুরা, শালিক। স্তন্যপায়ীর মধ্যে রয়েছে বানর, হনুমান, শিয়াল, বনবিড়াল, বেজি, কাঠবিড়াল, ইঁদুর, খরগোশ, মেছো বাঘ। সাপের মধ্যে আছে অজগর, দারাইশ, উলুপুড়া, চন্দ বুড়াসহ নানা বিষধর সাপ।শকুনের নিরাপদ এলাকা-১ তফসিল অনুসারে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান শকুনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষিত।বনের ভেতর বসার জন্য সিমেন্ট নির্মিত ব্যাঙের ছাতাঘন বনে ভ্রমণের প্রশান্তি পেতে বিভিন্ন সময়েই ভীড় করে থাকে ভ্রমণ পিপাসুরা। কেউ কেউ মূল শহর থেকে ব্যক্তিগতভাবে সাইকেলে চড়েও বনভ্রমণে চলে আসেন। বর্ষায় কোথাও কোথাও পানির নালাও পার হতে হয়, তবে শীতেও বেশ পাতাবহুল থাকে বন। তবে বনের পথ ধরে কাঁটা জাতীয় উদ্ভিদের মোটামুটি সুলভ প্রাপ্তি দেখা যায়।</p>